১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

বিনিয়োগ বাড়াতে নানা উদ্যোগ! তবুও কাটছে না স্থবিরতা! মাদারল্যান্ড নিউজ


এস আর. টুটুল,(নিজেস্ব প্রতিনিধি) :
দীর্ঘদিন ধরে দেশে বিনিয়োগ স্থবিরতা চলছে। বেশকিছু বিনিয়োগবান্দব নীতিমালা গ্রহণের পরেও কাঙ্খিত বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হচ্ছে না।
ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থা ও জীবনমান উন্নয়নে নতুন- নতুন বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। বিনিয়োগ না হলে রপ্তানি বানিজ্যে কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। তাই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের বিনিয়োগ বাড়াতে বহুমুখী পবদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের পাশাপাশি বিনিয়োগকারিদের আকৃষ্ট করার জন্য নানা কার্যক্রম চলছে। এ লক্ষ্যে দেশে রাস্তাগাট. ব্রিজ. কালভার্ট. ছোট-বড় নতীতে সেতু নির্মানের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা হয়েছে। কিন্তূ গ্যাস সংকট এবং বিনিয়োগ বোর্ড, বেজা ও বিডাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃশ্যভান উদ্যোগের অভাবে বিনিয়োগের স্থবিরতা কাটছে না।
বিশেষঙ্গরা বলছেন: জাতিয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের লক্ষে সরতার প্রতিষ্ঠীত আর্থনৈতীক অঞ্চল চালু হতে সময় লাগবে। এজন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো চালুর আগেই বিনিয়োগ বাড়াতে দৃশ্যমান উদ্যোগ দেকতে চায় ব্যবসায়িরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর:খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, দেশে বিনিয়োগ নেই বললেই চলে। অর্থাৎ নতুন বিনিয়োগ আশছে না। ফলে থমকে আছে দেশের অর্থনীতির চাকা। এখন প্রয়োজন ১শত টি আর্থনৈতীক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করা। এজন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড, বেজা ও বিডাসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মুলত আবকাঠামোগত সমস্যা. টেকসই গণতন্ত্রের সংকটের কারণে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, অনেক দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও. বিনিয়োগ পরিস্থিতি ভালো নয়। ব্যাংক ঋণের সুদেহার সরকার এক অঙ্কে আনার চেষ্টা করলেও এথনো এ হার ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ। স্বল্পোন্নত দেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার প্রাথমিক মান অর্জনের পর আর্থনৈতীত উন্নয়নের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি পুরনো প্রতিবন্ধকতাগুলো দুর করা জরুরী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিআইডিএস এর গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখত বলেন, দেশে রাস্তাগাট. ব্রিজ. কালভার্ট. ছোট-বড় নতীতে সেতু নির্মাণের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখন বিনিয়োগ না বাড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। অবশ্য বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরাকারের বিনিয়োগবান্ধব কর্মপরিকল্পনা থাকতে হবে। যদি মূদ্রানীতি ঘোষণা করে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমিয়ে দেয়া হয়. তাহলে বিনিয়োগ বাড়াতে ইতোমধ্যে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশ আর্থনৈতীক অঞ্চল ১শত টি অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। ব্যক্তি খাতেও আর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জাপান. দক্ষিণ কোরিয়া, চীণ ও ভারত বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করেছে।এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠীত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষোভাবে প্রায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি বছরে অতিরুক্ত প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি সম্ভব হবে। এলক্ষে ৮৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য স্থান নির্বাচন সম্পন্ন করেছে সরকার।
সুত্র. দৌনিক ভোরের কাগজ।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ